লাকসামে বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) গভীর রাতে যৌথ বাহিনী একটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে ১৫ জুয়াড়িকে আটক করেছেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর একটি দল এবং পুলিশ যৌথভাবে ওই আবাসিক হোটেলে অভিযান পরিচালনা করে জুয়াড়িদের আটক করেন।
আটককৃতরা হলেন- লাকসাম পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ফতেপুর গ্রামের মৃত আলী আশরাফের ছেলে মো. জসিম উদ্দিন (৫৮), একই ওয়ার্ডের গাজীমুড়া গ্রামের মৃত হাছান আলীর ছেলে মো. সাইফুল (৩৮), মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে মো. লাতু মিয়া (৬৫), সামছুল হকের ছেলে এরশাদ হোসেন (৪৭), মুজাফ্ফর আলীর ছেলে বিল্লাল হোসেন (৩৬), মৃত আজগর আলীর ছেলে মো. সোহেল (৩৪), মৃত শফিকুর রহমানের ছেলে মো. আশিকুর রহমান (২৪), মৃত অহিদুর রহমানের ছেলে জহির উদ্দিন (২৮), একই ওয়ার্ডের ধামৈচা গ্রামের মৃত আলী মিয়ার ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন (৪৮), ১ নম্বর ওয়ার্ডের মিশ্রী গ্রামের নন্দলাল সাহার ছেলে অর্জুন সাহা (৪৬), ৫ নম্বর ওয়ার্ডের রাজঘাট বেপারী পাড়া মীর আলী সওদাগর বাড়ির দিদার হোসেনের ছেলে মো. জসিম উদ্দিন (৩৭), লাকসাম উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর পূর্ব পাড়ার মৃত আলী মিয়ার ছেলে জাকির হোসেন (৪৮), উপজেলার আজগরা ইউনিয়নের ঘাটার নোয়াগাঁও মেম্বার বাড়ির আমির আলীর ছেলে মফিজুর রহমান (৬০), একই ইউনিয়নের দামবাহার গ্রামের মৃত যৌবন আলীর ছেলে মো. আব্দুর রাজ্জাক (৫৪) এবং নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর উপজেলার চরবাটা (সফি হাজী বাড়ির মো. শেখ আহাম্মদের ছেলে মো. আব্দুল কুদ্দুস (৪৪)।
লাকসাম থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, লাকসাম দৌলতগঞ্জ বাজারের নোয়াখালী রেলগেইট সংলগ্ন পৌরসভা রোডের পাশে অবস্থিত 'হোটেল সুপার' নামক একটি আবাসিক হোটেলে জুয়ার আসর চলছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে ওই আবাসিক হোটেলে পুলিশ এবং সেনাবাহিনী যৌথ অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় ১৫ জুয়াড়িকে আটক করেন এবং জুয়ার বোর্ড থেকে নগদ ৮৩ হাজার ২৭০ টাকা, বিভিন্ন ব্রেন্ডের ১৫টি মোবাইল জব্দ করেন।
এই ব্যাপারে লাকসাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে লাকসাম থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তিনি জানান, শুক্রবার (৭ মার্চ) সকালে কুমিল্লার বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।