পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে শনিবার ( ৮ মার্চ) লাকসাম উপজেলার মুদাফফরগঞ্জ বাজার মনিটরিং করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাউছার হামিদ। ওইদিন বিকেলে বাজার মনিটরিংয়ের সময় নানাহ অনিয়মের কারণে ৫ ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ১ লাখ ২৮ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক লাকসাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাউছার হামিদ।
ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক লাকসাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাউছার হামিদ অর্থদন্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মুদাফরগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী মিজান এন্ড ব্রাদার্স এর মালিক মো: রাশেদকে বিধি বহির্ভূতভাবে চাষী ব্রেন্ডের চিনি গুড়া চালের প্যাকেটে খোলা পোলাউয়ের চাল প্রক্রিয়াজাত করে বিক্রি করায় দায়ে ১ লাখ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। এ ছাড়া, অপর ৪ ব্যবসায়ীকে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় এবং নির্ধারিত মূল্যের অধিক মূল্যে নিত্যপণ্য বিক্রয়ের দায়ে ২৮ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেছেন।
এ সময় ইউএনও কাউছার হামিদ ওই বাজারের ব্যবসায়ীদের সঠিক মূল্য তালিকা প্রদর্শন এবং নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত মূল্য না নিতে সতর্ক করেন। এদিকে একইদিন বিকেলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ও বাজারে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে লাকসাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কাউছার হামিদ পজেলার দৌলতগঞ্জ বাজার ও রেলগেট মোড়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
বাজারে যত্রতত্র অটোরিকশা পার্কিং করে যানজন সৃষ্টিসহ মূল্য তালিকা না থাকা, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য উৎপাদনে বিভিন্ন দোকানে অভিযান পরিচালনা করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কাউছার হামিদ জানান, লাকসাম বাজার পরিদর্শনের সময় দেখা গেছে, কিছু কিছু ব্যবসায়ী বিভিন্ন পণ্যের নির্ধারিত মূল্য তালিকা প্রদর্শন করছেন না এবং কিছু দোকান মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি করছে। এতে সাধারণ ক্রেতারা প্রতারিত হচ্ছেন। এ ছাড়া, রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় ফলমুল কেমিক্যাল দিয়ে কলা পাকানোর দায়ে বিক্রেতা ও দোকান মালিককে সতর্ক করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া ইউএনও কাউছার হামিদ জানান, ‘রমজান মাস জুড়ে অভিযান পরিচলনা করা হবে। ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘনকারীদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। বাজারে পণ্যের মূল্য তালিকা থাকা বাধ্যতামূলক। মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি করা যাবে না এবং খাদ্য উৎপাদনে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মানতে হবে। যারা এসব আইন মানবে না, তাদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
অভিযানের অংশ হিসেবে বিকাল চারটায় লাকসাম রেলগেট মোড়ের বিভিন্ন দোকানে তল্লাশি চালানো হয়। সেখানে অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য উৎপাদন ও সংরক্ষণ করা হচ্ছিল। খাদ্যদ্রব্য তৈরির কাঁচামালের মান নিয়ন্ত্রণের কোনো ব্যবস্থা ছিল না, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক।