সর্বশেষ গত  ২৭ শে মে , ২০২২ শুক্রবার পুলিশ কর্মকর্তা সৈয়দ আলী এবং পুলিশ কর্মকর্তা সুরঞ্জিত ডিটেক্টিভ ৩য় গ্রেডে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে তাছাড়া অ্যাসোসিয়েট  ট্রাফিক এনফোর্সমেন্ট এজেন্ট লেভেল ১ (ট্রাফিক সুপারভাইজার) পদে পদোন্নতি লাভ করেছেন  ট্রাফিক এজেন্ট রিতা আর দাস, সাইফ আলী, আফজাল এম রহমান, শহীদুল ইসলাম, এমডি এম রহমান, খোন্দকার এস সায়েম এবং মাসফিয়াত তানজিম।
স্থানীয় সময় শুক্রবার সকালে নিউইয়র্ক শহরের অদূরে কুইন্সে অবস্থিত পুলিশ একাডেমিতে জমকালো এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তার হাতে পদোন্নতির সনদ তুলে দেন নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের বর্তমান পুলিশ কমিশনার কিসেন্ট সিওয়েল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে পদোন্নতি প্রাপ্তদের অভিনন্দন জানান এনওয়াইপিডির ৬৯ প্রিসিস্কটের কমান্ডিং অফিসার ক্যাপ্টেন খন্দকার আব্দুল্লাহ, বাংলাদেশী আমেরিকান পুলিশ এসোসিয়েশনের (বাপার) এক্সিকিউটিভ ভাইস-প্রেসিডেন্ট সার্জেন্ট এরশাদ সিদ্দিকী, বাপার ট্রাস্টি অফিসার রাজীব ঘোষ , বাপার সাবেক  ট্রাস্টি সার্জেন্ট  আলী হাসান সহ বাপার অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।

এদিকে বাংলাদেশী আমেরিকান পুলিশ এসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন করম চৌধুরী এক বিবৃতিতে পদোন্নতি  প্রাপ্তদের অভিনন্দিন জানিয়েছেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন,  ডিটেক্টিভ ৩য় গ্রেডের পদ পাওয়া কঠিন ও সময়সাপেক্ষ। বাংলাদেশী-আমেরিকান যারা গোয়েন্দা বিভাগে পদোন্নতি পেয়েছেন তাদের কাজ অনুকরণীয় এবং তারা আমাদের গর্ব, কমিউনিটির গর্ব। এছাড়া  বাপার পক্ষ থেকে  জেনারেল সেক্রেটারি লেফটেন্যান্ট  প্রিন্স আলম পদোন্নতি প্রাপ্তদের অভিনন্দন জানান। 

এনওয়াইপিডি এখন বাংলাদেশী-আমেরিকানদের কাছে আকর্ষণীয় পেশায় পরিণত হয়েছে। নিউইয়র্ক পুলিশে বাংলাদেশিদের জয়জয়কার উল্লেখ করে বাপা’র মিডিয়া লিয়াজোঁ ডিটেকটিভ জামিল সারোয়ার জনি জানান,  বর্তমানে আনুমানিক ১৪৫০ জন বাংলাদেশী এনওয়াইপিডির বিভিন্ন বিভাগে দায়িত্ব পালন করছেন।  যাদের মধ্যে ৪ জন ক্যাপ্টেন, ১ জন লেফটেন্যান্ট কমান্ডার, ১০ জন লেফটেন্যান্ট, ৪০ সার্জেন্ট ১২ জন ডিটেক্টিভ এবং পুলিশ অফিসার সহ ৪৫০ জন ইউনিফর্ম অফিসার রয়েছেন। এছাড়াও এনওয়াইপিডিতে  প্রায় ১,১০০ সিভিলিয়ান লোক নিযুক্ত রয়েছেন তারা স্কুল সেফটি এজেন্ট , ট্রাফিক এজেন্ট , স্কুল ক্রসসিং গার্ড হিসাবে কর্মরত এবং সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন।