এছাড়াও কুমিল্লা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো: আমিরুল কায়সার লাকসাম পৌরসভার নিকটস্থ ধোয়া পুকুর সহ বিভিন্ন জলাশয় রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করার নির্দেশনা প্রদান করেন স্থানীয় প্রশাসন ও কৃর্তপক্ষকে। উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে লাকসাম পৌরসভার নিকটস্থ বালিকা বিদ্যালয় সংলগ্ন ঐতিহ্যবাহী শতবর্ষী ধোয়া পুকুর রক্ষার জন্য পরিদর্শন করেন সাবেক লাকসাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব আবদুল হাই সিদ্দিকী, লাকসাম পৌরসভার সাবেক প্রশাসক এএসএম গোলাম কিবরিয়া সহ বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ।
লাকসাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও লাকসাম পৌর প্রশাসক জনাব কাউছার হামিদ ধোয়া পুকুর পরিদর্শনে এসে লাকসামের বিভিন্ন পুকুর, খাল ও নদী রক্ষায় তাঁর এবং সরকারের অঙ্গীকারের কথা পূর্ণব্যক্ত করে বলেন, ‘কোন জলাশয় ভরাট, বা এর আকার পরিবর্তন করা দন্ডনীয় অপরাধ। যেকোনো মূল্যে আমাদের জলাশায়গুলোকে রক্ষা করতে হবে।’ পুকুরের পাশ দিয়ে চলে যাওয়া পৌরসভার সড়ক মেরামতের জন্য ইতিমধ্যেই টেন্ডার করা হয়েছে। রাস্তা মেরামতের কাজ শুরু হলে পুকুরের চারপাড়ে গার্ডওয়াল তৈরি করে মানুষের জন্য হাঁটা ও চলাচলের ব্যবস্থা করবেন বলেও জানান লাকসাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও লাকসাম পৌর প্রশাসক জনাব কাউছার হামিদ।
উল্লেখ্য, বেশ কয়েক বছর পূর্বে লাকসাম কাপড়পট্টিতে লাগুন লাগলে এই ধোয়া পুকুরের পানি ব্যবহার করেই আগুন নির্বাপন করতে সক্ষম হয়েছে লাকসাম ফায়ার সার্ভিস। তাই এই পুকুরটি রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি ও সময়ের দাবি। ইতিমধ্যেই লাকসাম জগন্নাথ দিঘি, চারঘাটলা পুকুর, গাজিরমুড়া মাদ্রাসা সংলগ্ন পুকুর সহ বিভিন্ন পুকুরকে নান্দনিক ভাবে গড়ে তুলে পুকুরগুলোকে রক্ষা করেছে লাকসাম পৌরসভা কৃর্তপক্ষ। পৌরসভা এবং উপজেলার উপরোক্ত পুকুরগুলোর মতো লাকসামের শতবর্ষী ঐতিহ্যবাহী ধোয়া পুকুরকেও নান্দনিক ভাবে গড়ে তুলে পুকুরটিকে স্থায়ীভাবে রক্ষার জন্য বিবেচনায় নিয়েছে বর্তমান প্রশাসন।
পরিদর্শনকালে লাকসাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব কাউছার হামিদের সাথে স্থানীয় উপজেলা কর্মকর্তাবৃন্দ, পৌরসভা কর্মকর্তাবৃন্দ, এসি ল্যান্ড কর্মকর্তাবৃন্দ সহ স্থানীয় জনগণ উপস্থিত ছিলেন।