থানায় অভিযোগ করা হয়, বুড়িচং থানার পূর্বপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. নজির আহম্মেদের দুই মেয়ে মিফতাহুল মাওয়া (৪) ও গালিবা সুলতানা (১০) স্থানীয় শাহজাহানের বাড়ির সামনে স্তূপ করে রাখা বালু নিয়ে খেলা করছিল। এতে তিনি উত্তেজিত হয়ে মিফতাহুল মাওয়াকে মারধর করে পুকুরে ফেলে দেন। এ সময় তার বড় বোন গালিবা চিত্কার করলে শাহজাহান তাকেও মারধর করেন। এতে তার চিত্কারে স্থানীয় লোকজন এসে পুকুর থেকে ঐ শিশুকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। এদিকে শিশুর প্রতি একজন শিক্ষকের এমন নিষ্ঠুরতার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ঐ ভিডিওতে দেখা যায়, শিশুটির মা শামছুন নাহার তানিয়া ঐ শিক্ষক শাহজাহানকে বলছিলেন, ‘আপনার মধ্যে কি মনুষ্যত্ব নেই? আপনি আমার বাচ্চাকে পানিতে ফেলে দিলেন। একটু বালু ফেলে দিয়েছে বলে আপনি এভাবে আমার বাচ্চাকে পুকুরে ফেলে দেবেন?’ তখন ঐ শিক্ষক পালটা বলেন, ‘তোমার বাচ্চা, নাকি কার বাচ্চা—এটা আমি দেখব না। আমার কাছে শিশুর চেয়ে বালুর মূল্য বেশি। তোমার বাচ্চা আমার এখানে আসবে কেন?’
সামছুন নাহার বলেন, ‘শাহজাহান নামের ওই শিক্ষকের বয়স ৫০ বছর আর আমার মেয়েটার বয়স ৪ বছর। তিনি কীভাবে এই কাজ করতে পারলেন। আমার মেয়েটা মরতে মরতে বেঁচে গেছে। এখনো তার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। শাহজাহান শিক্ষক নামের কলঙ্ক। ঘটনার পরও তার কোনো অনুশোচনা নেই। তার কাছে মানুষের জীবনের চেয়ে সামান্য বালুর মূল্য বেশি।’ তিনি এ ঘটনায় শাহজাহানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান।
বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুল হক বলেন, মেয়েকে পানিতে ফেলে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে শিশুটির মা সামছুন নাহার তানিয়া বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলার আসামি শাহজাহানকে ধরতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। তবে ঘটনার পর ভিডিও ভাইরাল এবং থানায় মামলা হওয়ার পর তিনি এলাকা থেকে পলাতক রয়েছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।